Posts

অনলাইনের ভুয়া ঘটক চেনার উপায়!

Image
অনলাইনে মাঝে মাঝেই একটা করে ভণ্ডামি ব্যবসার ট্রেন্ড উঠে। বর্তমানে যে কয়টা ভণ্ডামি ব্যবসার ট্রেন্ড চলছে তার মধ্যে একটি হলো অনলাইনভিত্তিক ডিজিটাল ঘটক সেবা। ফেসবুকের বিবাহ বিষয়ক বিভিন্ন গ্রুপে "পাত্র/ পাত্রী চাই" এরূপ পোস্টের কমেন্ট সেকশনে এদের বিজ্ঞাপনের আনাগোনা প্রচুর। অনেক ভুয়া ঘটক আবার ফেসবুক গ্রুপে সুন্দর একটা মেয়ের ফটো পোস্ট করে ক্যাপশন দেয় "পাত্র চাই, আগ্রহী পাত্র বা পাত্রপক্ষের লোকজন যোগাযোগ করুন"। সচেতন না হলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে এই ঘটক আসল নাকি ভুয়া। ভুয়া ঘটক চিনতে হলে প্রথমেই আপনাকে অনলাইনের আসল ঘটকের কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে, তাহলে আপনি আসল ঘটক ও ভুয়া ঘটকের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন। আসল ঘটকের কাজের সিস্টেম হলো সে প্রথমে আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি কী করেন? কেমন পাত্রী চান? এবং কোন জেলা/ বিভাগের পাত্রী চান? এরপর তিনি সেইমাফিক আপনাকে মেসেঞ্জার কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন পাত্রীর ম্যারেজ প্রোফাইল (বিয়ের বায়োডাটা) ও ফটো দিবেন, তবে তিনি বায়োডাটাতে পাত্রীর ফোন নাম্বার, বাবার নাম এবং গ্রামের নাম এসব তথ্য দিবেন না, শুধু জেলা ও উপজেলার নাম আপনাকে জানাবেন

বিডিজবস এর আবেদনে সময় সেভ করার উপায়!

Image
জব ও ক্যারিয়ার বিডিজবস এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাইভেট জব এর আবেদন করলে দেখা যায় প্রতি ২০-২৫ টি চাকরির আবেদন করলে সেসবের মধ্যে ১/ ২ টি চাকরির ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া যায়। আর এরূপ ঘটে থাকে বিশেষত বিনা অভিজ্ঞতার চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে। ২ বছর বা তদুর্দ্ধ অভিজ্ঞতাসম্পন্নদের ক্ষেত্রে এই হার সে তুলনায় সুবিধাজনক হয়ে থাকে অর্থাৎ ১০-১৫ টি আবেদন করলেই ১/২ ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া যায়। যাহোক এখনকার আলোচনার মূল বিষয় হলো এসব আবেদনের ক্ষেত্রে টাইম সেভ করার কৌশল বিষয়ে। দেখা যায় বিডিজবস এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাইভেট জবের আবেদন করার সময় সেসব জবের বর্ণনা পড়তে ব্যাপক সময় ব্যয় হয়। প্রতিটি জবের বিজ্ঞপ্তির বিবরণ A4 সাইজের পেজে গড়ে দেড় পৃষ্ঠা হয়। তাই দেখা যায় একটা ইন্টারভিউয়ে ডাক পেতে যে ২০-২৫ টা চাকরিতে আবেদন করতে হয় সেসব চাকরির বিজ্ঞপ্তির বিবরণ পড়ে পড়ে আবেদন করতে গেলে তাতে বহু সময় অহেতুক ব্যয় হয়। কারণ সেসবের মধ্যে থেকে আপনি যে ১/২ টা চাকরির ইন্টারভিউয়ে ডাক পাবেন সেসবই শুধু কাজে লাগবে। আরও একটা সত্য বিষয় হলো এই ২০-২৫ টা চাকরির বিবরণ পড়লেও সেসব মনে রাখা সম্ভব নয়। তাই এক্ষেত্রে এরূপ অহেতুক সময় ব্যয় হতে রক্ষা পাওয়ার উ

কোন দেশে সবচেয়ে বেশি সুন্দর মেয়ে আছে?

Image
পাঠক, এখন আমি একটি আকর্ষণীয় তথ্য জানাতে চাই তা হলো— কোন দেশে সবচেয়ে বেশি সুন্দর মেয়ে আছে! তবে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায় আগে আমি এই বিষয়টা ক্লিয়ার করার জন্য একটা ছোট্ট বিষয় ব্যাখ্যা করি। আপনারা কি জানেন পৃথিবীর কোথায় ইন্টারনেটের স্পিড সবচেয়ে বেশি? হ্যাঁ, অবশ্যই আন্দাজ করতে পেরেছেন— সেটা হলো নাসা (NASA)! নাসাতে প্রতি সেকেন্ডে ইন্টারনেটের স্পিড ৯২ জিবিপিএস; অর্থাৎ নাসার ইন্টারনেটের স্পিড 92 GBPS। এক্ষেত্রে একটা বিষয় উল্লেখ করতে হয় সেটা হলো, নাসার এই ইন্টারনেট শুধু নাসাতেই ব্যবহৃত হয়। এই ইন্টারনেট শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর দেশের সাধারণ জনগণ যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেদিক থেকে পাবলিক ইন্টারনেটে সুইজারল্যান্ডে ইন্টারনেটের স্পিড সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ সাধারণ জনগণের ব্যবহৃত ইন্টারনেটের স্পিড সবচেয়ে বেশি সুইজারল্যান্ডে। সুন্দর মেয়ের বিষয়টাও এমনই। বিশ্বে পরিসংখ্যানের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সুন্দর মেয়ে আছে থাইল্যান্ডে। অর্থাৎ থাইল্যান্ডের মেয়েরা বেশিরভাগই সুন্দর। কিন্তু সর্বোচ্চ কোয়ালিটির সুন্দর মেয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্যে; অর্থাৎ পরিমাণে বেশি নয় বরং কোয়ালিটিতে সবচেয়ে অত্যাধিক সুন্দর

ফিউচার অ্যাসেট কী এবং এটি কেনো প্রয়োজনীয়?

Image
 লাইফ ডেভেলপমেন্ট ফিউচার অ্যাসেট বিষয়টা সহজে বুঝানোর জন্য প্রথমে ছোট্ট একটা গল্প বলি। ঢাকায় একটি সামুচা-রুটি-পরোটার দোকানের সামনে একটি বড় কোম্পানির অফিস ছিল। একদিন এক ম্যানেজার সেই দোকানে সামুচা খেতে এলো। দুইটা সামুচা নিয়ে সে সামুচাওয়ালাকে প্রশ্ন করলো, "তুমি খুব সুন্দর করে দোকানটা সাজিয়েছো, সিস্টেমগুলো ভালো, সুন্দর এডমিনিষ্ট্রেশন, তাহলে তোমার এত সুন্দর প্ল্যানিং নিয়ে আমার মত জব করলে ভালো হতো না, এই সামুচা বিক্রি করে তুমি সময় নষ্ট করছো না তো?" সামুচাওয়ালা হাসি দিয়ে বলল, "স্যার আমার কাজটা আপনার থেকে অনেক ভালো। আজ থেকে ১০ বছর আগে আমি সামুচা বিক্রি করতাম টুকরীতে। তখন আমার আয় ছিল ১০০০ টাকা মাস এবং আপনার বেতন ছিল ১০ হাজার। আজ ১০ বছর পর আমার আয় ১ লক্ষ এবং কোনো কোনো মাসে ১ লক্ষের বেশি আর আপনার বেতন এখন ১ লক্ষ। তাহলে আপনার থেকে আমার কাজটা বেশি ভালো না? আমার পরে আমার এই ব্যবসা আমার ছেলে দেখবে। সে সাজানো একটা ব্যবসা পাবে কিন্তু আপনার ছেলেমেয়ে কি আপনার মতো পজিশন পাবে? আমি ০ থেকে শুরু করেছি কিন্তু আমার ছেলেমেয়েরা ০ থেকে শুরু করবে না। চাকরিজীবীগনের ছেলেমেয়েদের ০ থেকেই শুরু করতে হবে। আ

তরুণ বয়সে নিজের জন্য নিজের করণীয় কী? কী?

Image
মূর্খদের কাছে সম্পদ হলো— জমিজমা, বাড়ি-গাড়ি, টাকাপয়সা এসব। জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমানদের কাছে সম্পদ হলো— নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব, সৃজনশীলতা, উৎপাদনশীলতা ও প্রগতির পথে অবদান। ধার্মিকদের কাছে সম্পদ হলো— ইমাম-আমল তথা তাকওয়া, আদেল, সততা, দানশীলতা, পরোপকার এসব আদর্শ। সম্পদের সংজ্ঞা বা ধারণা যার কাছে যেমনই হোকনা কেনো, সমস্যা সেটা না, সমস্যা হলো যখন তুমি মূর্খ পরিবেষ্টনীতে জন্ম নেওয়া মানুষ হয়ে তথা মূর্খ ধ্যানধারণাসম্পন্ন পরিবার-সমাজ এর সদস্য হয়ে একজন জ্ঞানী কিংবা সফল মানুষ হতে যাবে, সৃজনশীল মানুষ হতে যাবে, নিজের আত্নপরিচয় সৃষ্টির প্রত্যাশী একজন মানুষ হতে যাবে সমস্যাটা তখন; কারণ ওই যে বললাম— মূর্খ সমাজের কাছে সম্পদ হলো জমিজমা, বাড়ি-গাড়ি, টাকাপয়সা এইসব জিনিসগুলো। তাই দেখা যাবে, নিজের আত্নপরিচয় সৃষ্টি করে বেঁচে থাকার জন্য যে সময় প্রয়োজন এই সময়টার মূল্য সমাজ দেবে না। কারণ মূর্খ সমাজ হচ্ছে, অতিমাত্রায় অধৈর্য এবং তারা কোনোকিছুর সম্ভাবনা বোঝে না। তারা তাৎক্ষণিক আউটকাম আশা করে; সে আউটকামটা যতো ক্ষুদ্রই হোক, তারা আশা করে তাৎক্ষণিক আউটকাম— এটাই হচ্ছে সমস্যা। এই ধরো, তুমি লাইফে কিছু একটা করতে চাও। এক

চাকরির জন্য কীভাবে পারসোনাল ডেটাবুক তৈরি করবেন?

Image
চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য ক্যারিয়ারবিষয়ক অনন্য লেখা! আমাদের বাঙালিদের অন্যতম একটি সমস্যা হলো আমরা প্রয়োজনীয় কাজে সময় ব্যয় করতে চাই না অথচ ফাও কাজে কিংবা আড্ডা-গল্প, কৌতুক/ সিনেমা-নাটক/ টুর্নামেন্ট দেখার মতো অনপ্রডাকটিভ কাজে ঠিকই সময় ব্যয় করার সময় পাই, যেমন আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য টাকা ব্যয় করতে চাই না অথচ আওফাও বিষয়ে ঠিকই টাকা ব্যয় করতে পারি। এটাই হলো সমস্যা! আমরা চাকরি করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকি কিন্তু চাকরি পাওয়ার জন্য একটি সুন্দর সিভি তৈরি করতে চাই না, এমনকি চাকরির আবেদনও যথাযথভাবে করি না। আমাদের সমস্যাটা যতটা না বুনিয়াদগত তার চেয়ে বেশি মানসিক ও দৃষ্টিভঙ্গিগত। একটা পারসোনাল ডেকাবুক তৈরি করতে গেলেই আমাদের যতো সমস্যা! এতো সময় কই হাতে! অথচ একবার দেড় দুইঘণ্টা সময় দিয়ে এই ডেটাবুক তৈরি করতে পারলে তা আমাদের পরবর্তী চাকরির আবেদনগুলো করার সময় কতটা সময় সেভ করে তা আমরা ভাবি না এবং সেই সুফলটার প্রতি আমাদের দৃষ্টি নেই। আমরা শুধু প্রথমবারের সময়টাকেই বড় করে দেখি। যাহোক আপনি অ্যাডভান্সড থাকতে চাইলে পারসোনাল ডেটাবুক তৈরি করুন। আর এটাকে অলনাইন ওয়েবপেজে সেভ করে রাখতে হবে। Blogger.com এ ফ্রিতে ওয়েবপেজ

ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়— কথাটা ভুল, বাস্তবতার জ্ঞান ও কৌশল থাকলে সফল হওয়া যায়!

Image
বর্তমান প্রেক্ষাপটে 'ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়' কথাটা ভুল; কারণ বর্তমান সময়ের জটিল সামাজিক পরিস্থিতিতে এই কথাটা একটা আংশিক কথা, সম্পূর্ণ কথা তথা পূর্ণাঙ্গ ট্রিকস নয়। ইনট্রানজেটিভ ভার্ব এর যেমন অবজেক্ট না থাকার কারণে তার প্যাসিভ ভয়েস করা যায় না তেমনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে শুধু ইচ্ছা থাকলেই সফল হওয়া যায় না; ইচ্ছা তো থাকতে হবেই, সেইসাথে বাস্তবতায় জ্ঞান এবং কৌশল জানা থাকতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এবং সেইসাথে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তনের ফলে আজকাল মানুষজন সবকিছু নিয়েই ব্যবসা করে থাকে, সবকিছুকেই ব্যবসায়ী দৃষ্টিতে দেখে থাকে। সমাজে গড়ে উঠেছে একদল এজেন্ট শ্রেণি যারা বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে এবং তারা মানুষজনকে সাহায্য এবং পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবসায়ী আচরণ করে থাকে। মানুষের স্বপ্ন, আবেগ ও বেকারত্বকে পুঁজি করে এমএলএমসহ বিভিন্ন নীতিবোধহীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যারা তরুণদের এসব দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে দিয়ে মার্কেটিং ও সেলস/ সার্ভিস এর কাজও করছে। বলতে শঙ্কা করি না যে শিক্ষাক্ষেত্রেও কিছু মানহীন সেবাদাতা বিজ্ঞাপন নির্ভর প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের কৌশল